দীর্ঘস্থায়ী হাঁটুর ব্যথা এবং চিকিৎসা

হাঁটু মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় জয়েন্ট। এটি প্রধানত তিনটি হাড় অর্থাৎ ফিমার, প্যাটেলা এবং টিবিয়া বা শিন হাড় নিয়ে গঠিত। জয়েন্টটি সাইনোভিয়াল মেমব্রেন দিয়ে আবৃত। এই ঝিল্লি থেকে সাইনোভিয়াল তরল উৎপন্ন হয় এবং এই তরল হাঁটুর ঘর্ষণজনিত পরিধান প্রতিরোধ করে। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের লিগামেন্ট, পেশী, বারসা, ক্যাপসুল এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নরম টিস্যু জয়েন্টকে ঘিরে থাকে। জয়েন্টকে ঘিরে অনেক স্নায়ুর নেটওয়ার্ক।  হাঁটু ব্যথার কারণ • হাঁটুর অস্টিওআর্থারাইটিস; এটাকে ডাক্তারি পরিভাষায় অস্টিওআর্থারাইটিস বলে। হাঁটুর হাড়ের তরুণাস্থি প্রথমে ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। ফলে জয়েন্টের মধ্যবর্তী স্থান কমে যায় এবং ব্যথা হয়। এটি সাধারণত বয়সের সাথে ঘটে।  • জয়েন্টে উৎপন্ন সাইনোভিয়াল ফ্লুইড কমে গেলে হাঁটুর হাড় একে অপরের বিরুদ্ধে ঘষে।  • যদি আর্টিকুলার কার্টিলেজ ভেঙ্গে যায়।  • লিগামেন্টে আঘাতের ক্ষেত্রে। যদি আঘাতের পরে অস্ত্রোপচার সফল না হয় বা অস্ত্রোপচারের পরে হাঁটু দৈনন্দিন জীবনযাত্রার স্বাভাবিক কাজে ব্যবহার না করা হয়।  • জয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন প্রদাহ বা প্রদাহ থেকে।  • ওজন বাড়ার কারণে হাঁটুতে চাপ পড়লে।  • হাঁটুতে আঘাত, ভারী উত্তোলন, ক্রমাগত সিঁড়ি বেয়ে ওঠা।  • শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে। এছাড়াও ankylosing spondylitis এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণে।  • সাইনোভিয়াল তরল কম উৎপাদনের ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়, যখন অতিরিক্ত তরল তৈরি হয় এবং হাঁটুর পিছনে জমা হয়। ফলে হাঁটুর জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা হয়।     চিকিৎসা  রোগীর উপসর্গের চিকিৎসাঃ  এক্ষেত্রে প্রধানত উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন রোগীর তীব্র হাঁটু ব্যথা হয়, ব্যথা উপশম প্রদান; হাঁটু বাঁকাতে সমস্যা হলে তার সমাধান ইত্যাদি।  কারণগুলোর চিকিৎসা:  এক্ষেত্রে প্রথমে রোগের কারণ খুঁজে বের করা হয় এবং তারপর রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা দেওয়া হয়। অর্থাৎ হাঁটুতে গঠনগত পরিবর্তনের পাশাপাশি মাংসপেশির দুর্বলতা ও সংকোচন আছে কিনা তা নির্ণয় করা এবং চিকিৎসা দেওয়া। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য আধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতি সহ ফিজিওথেরাপি। এতে ইলেক্ট্রোমেডিসিন, ক্লিনিক্যাল ড্রাই সুই, শক ওয়েভ থেরাপি সহ বিভিন্ন ধরণের থেরাপিউটিক ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  • মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, কনসালটেন্ট (ফিজিওথেরাপি), চৌধুরী ফিজিওথেরাপি সেন্টার, মিরপুর ১০, ঢাকা

 দীর্ঘস্থায়ী হাঁটুর ব্যথা এবং চিকিৎসা

হাঁটু মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় জয়েন্ট। এটি প্রধানত তিনটি হাড় অর্থাৎ ফিমার, প্যাটেলা এবং টিবিয়া বা শিন হাড় নিয়ে গঠিত। জয়েন্টটি সাইনোভিয়াল মেমব্রেন দিয়ে আবৃত। এই ঝিল্লি থেকে সাইনোভিয়াল তরল উৎপন্ন হয় এবং এই তরল হাঁটুর ঘর্ষণজনিত পরিধান প্রতিরোধ করে। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের লিগামেন্ট, পেশী, বারসা, ক্যাপসুল এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নরম টিস্যু জয়েন্টকে ঘিরে থাকে। জয়েন্টকে ঘিরে অনেক স্নায়ুর নেটওয়ার্ক।

হাঁটু ব্যথার কারণ

• হাঁটুর অস্টিওআর্থারাইটিস; এটাকে ডাক্তারি পরিভাষায় অস্টিওআর্থারাইটিস বলে। হাঁটুর হাড়ের তরুণাস্থি প্রথমে ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। ফলে জয়েন্টের মধ্যবর্তী স্থান কমে যায় এবং ব্যথা হয়। এটি সাধারণত বয়সের সাথে ঘটে।

• জয়েন্টে উৎপন্ন সাইনোভিয়াল ফ্লুইড কমে গেলে হাঁটুর হাড় একে অপরের বিরুদ্ধে ঘষে।

• যদি আর্টিকুলার কার্টিলেজ ভেঙ্গে যায়।

• লিগামেন্টে আঘাতের ক্ষেত্রে। যদি আঘাতের পরে অস্ত্রোপচার সফল না হয় বা অস্ত্রোপচারের পরে হাঁটু দৈনন্দিন জীবনযাত্রার স্বাভাবিক কাজে ব্যবহার না করা হয়।

• জয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন প্রদাহ বা প্রদাহ থেকে।

• ওজন বাড়ার কারণে হাঁটুতে চাপ পড়লে।

• হাঁটুতে আঘাত, ভারী উত্তোলন, ক্রমাগত সিঁড়ি বেয়ে ওঠা।

• শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে। এছাড়াও ankylosing spondylitis এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণে।

• সাইনোভিয়াল তরল কম উৎপাদনের ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়, যখন অতিরিক্ত তরল তৈরি হয় এবং হাঁটুর পিছনে জমা হয়। ফলে হাঁটুর জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা হয়।

হাঁটু মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় জয়েন্ট। এটি প্রধানত তিনটি হাড় অর্থাৎ ফিমার, প্যাটেলা এবং টিবিয়া বা শিন হাড় নিয়ে গঠিত। জয়েন্টটি সাইনোভিয়াল মেমব্রেন দিয়ে আবৃত। এই ঝিল্লি থেকে সাইনোভিয়াল তরল উৎপন্ন হয় এবং এই তরল হাঁটুর ঘর্ষণজনিত পরিধান প্রতিরোধ করে। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের লিগামেন্ট, পেশী, বারসা, ক্যাপসুল এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নরম টিস্যু জয়েন্টকে ঘিরে থাকে। জয়েন্টকে ঘিরে অনেক স্নায়ুর নেটওয়ার্ক।  হাঁটু ব্যথার কারণ • হাঁটুর অস্টিওআর্থারাইটিস; এটাকে ডাক্তারি পরিভাষায় অস্টিওআর্থারাইটিস বলে। হাঁটুর হাড়ের তরুণাস্থি প্রথমে ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। ফলে জয়েন্টের মধ্যবর্তী স্থান কমে যায় এবং ব্যথা হয়। এটি সাধারণত বয়সের সাথে ঘটে।  • জয়েন্টে উৎপন্ন সাইনোভিয়াল ফ্লুইড কমে গেলে হাঁটুর হাড় একে অপরের বিরুদ্ধে ঘষে।  • যদি আর্টিকুলার কার্টিলেজ ভেঙ্গে যায়।  • লিগামেন্টে আঘাতের ক্ষেত্রে। যদি আঘাতের পরে অস্ত্রোপচার সফল না হয় বা অস্ত্রোপচারের পরে হাঁটু দৈনন্দিন জীবনযাত্রার স্বাভাবিক কাজে ব্যবহার না করা হয়।  • জয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন প্রদাহ বা প্রদাহ থেকে।  • ওজন বাড়ার কারণে হাঁটুতে চাপ পড়লে।  • হাঁটুতে আঘাত, ভারী উত্তোলন, ক্রমাগত সিঁড়ি বেয়ে ওঠা।  • শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে। এছাড়াও ankylosing spondylitis এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণে।  • সাইনোভিয়াল তরল কম উৎপাদনের ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়, যখন অতিরিক্ত তরল তৈরি হয় এবং হাঁটুর পিছনে জমা হয়। ফলে হাঁটুর জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা হয়।     চিকিৎসা  রোগীর উপসর্গের চিকিৎসাঃ  এক্ষেত্রে প্রধানত উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন রোগীর তীব্র হাঁটু ব্যথা হয়, ব্যথা উপশম প্রদান; হাঁটু বাঁকাতে সমস্যা হলে তার সমাধান ইত্যাদি।  কারণগুলোর চিকিৎসা:  এক্ষেত্রে প্রথমে রোগের কারণ খুঁজে বের করা হয় এবং তারপর রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা দেওয়া হয়। অর্থাৎ হাঁটুতে গঠনগত পরিবর্তনের পাশাপাশি মাংসপেশির দুর্বলতা ও সংকোচন আছে কিনা তা নির্ণয় করা এবং চিকিৎসা দেওয়া। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য আধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতি সহ ফিজিওথেরাপি। এতে ইলেক্ট্রোমেডিসিন, ক্লিনিক্যাল ড্রাই সুই, শক ওয়েভ থেরাপি সহ বিভিন্ন ধরণের থেরাপিউটিক ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  • মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, কনসালটেন্ট (ফিজিওথেরাপি), চৌধুরী ফিজিওথেরাপি সেন্টার, মিরপুর ১০, ঢাকা

চিকিৎসা

 রোগীর উপসর্গের চিকিৎসাঃ 

এক্ষেত্রে প্রধানত উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন রোগীর তীব্র হাঁটু ব্যথা হয়, ব্যথা উপশম প্রদান; হাঁটু বাঁকাতে সমস্যা হলে তার সমাধান ইত্যাদি।

কারণগুলোর চিকিৎসা: 

এক্ষেত্রে প্রথমে রোগের কারণ খুঁজে বের করা হয় এবং তারপর রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা দেওয়া হয়। অর্থাৎ হাঁটুতে গঠনগত পরিবর্তনের পাশাপাশি মাংসপেশির দুর্বলতা ও সংকোচন আছে কিনা তা নির্ণয় করা এবং চিকিৎসা দেওয়া। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য আধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতি সহ ফিজিওথেরাপি। এতে ইলেক্ট্রোমেডিসিন, ক্লিনিক্যাল ড্রাই সুই, শক ওয়েভ থেরাপি সহ বিভিন্ন ধরণের থেরাপিউটিক ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

• মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, কনসালটেন্ট (ফিজিওথেরাপি), চৌধুরী ফিজিওথেরাপি সেন্টার, মিরপুর ১০, ঢাকা

আরও পড়ুন

যে কারনে ইফতারিতে ফলের রস খাবেন

How to recognize pure honey

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ